নির্ভেজাল পণ্য পাওয়া অধিক জরুরি
- আপলোড সময় : ০২-০৩-২০২৫ ০৫:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০৩-২০২৫ ০৫:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন

বাজার মনিটারিং কমিটির অভিযানে ৯ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। সংবাদপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বৃহঃপতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের পুরাতন জেল রোড, গরুর মাংসের বাজার ও মোরগের বাজার মনিটরিং করা হয়। বাজার মনিটরিং-এর সময় দোকানের সামনের ফুটপাতে মালামাল রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার দায়ে মুদি দোকানদার আশফাক চৌধুরীকে ২ হাজার টাকা, অজয় রায়কে ২ হাজার টাকা, শঙ্কর রঞ্জন রায়কে ২ হাজার টাকা, হিতেন্দ্র রায়কে ২ হাজার টাকা, রিষান ট্রেডার্সের ম্যানেজার গুণেন্দ্র দাসকে এক হাজার টাকা, নান্টু পালকে এক হাজার টাকা, চাল বিক্রেতাকে শহীদুল হককে ৫শত, ফল ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমানকে দুই শত টাকা এবং বেশি দাম চাওয়ায় মাংস বিক্রেতা আব্দুর রহমানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।”
আপাত দৃষ্টিতে যে কারও মনে হতেই পারে যে, এইরকমভাবে বাজার মনিটরিং করা সত্যিকার অর্থেই নাগরিকদের জন্য খুবই জরুরি। কারণ এই পৌরসভার নাগরিকরা দোকানের সামনের ফুটপাতে মালামাল রেখে চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হোক, এমনটা অবশ্যই প্রত্যাশা করেন না। নাগরিকরা চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিরোধী। এই কারণে বাজার মনিটরিং কমিটির এবংবিধ কার্যক্রমকে সমর্থন করছি এবং সেই সঙ্গে তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই কার্যক্রম অবশ্যই প্রশংসনীয়, প্রশংসা তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, বাজারে বেরিয়ে প্রতিবন্ধকতাহীন পথ চলার পাশাপাশি বাজার থেকে নির্ভেজাল পণ্য নিয়ে ঘরে ফেরা মানুষের জন্য জরুরি। এই জন্য অভিজ্ঞমহলের ধারণা, বাজার মনিটারিংয়ের কাজে পথের প্রতিবন্ধকতা সরানোর পাশাপাশি নির্ভেজাল পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করা অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
বক্তব্য প্রলম্বিত না করে কেবল বলতে চাই, অগ্রাধিকারভিত্তিতে নির্ভেজাল পণ্য ক্রয়ের ব্যবস্থা করুন, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য নির্ভেজাল ও বিষমুক্ত করতে না পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যপ্রতিবন্ধী মানুষের দেশে পর্যবসিত হবে, যেখানে একবিংশ শতাব্দীর উন্নত প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বিশ্বের জন্য উপযুক্ত মেধাবী মানুষ পাওয়া যাবে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ